স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভূমিকা অপরিসীম। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সড়ক পথ, বিমান ও সমুদ্র বন্দর হয়ে পড়ে ব্যবহার অনুপযোগী। বিপর্যস্ত অর্থনীতিতে নতুন দেশ গঠনে পর্যাপ্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, নির্মাণ সামগ্রী ও শিল্পের কাঁচামাল জরুরি ভিত্তিতে যোগান দেয়া এবং ন্যায্য মূল্যে ভোগ্যপণ্য জনগণের নিকট সরবরাহ নিশ্চিত করার আশু প্রয়োজন দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং-৬৮/১৯৭২ এর মাধ্যমে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭২ সনের ০১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠার পর এদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করছে টিসিবি। টিসিবি’র মাধ্যমেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যাদি থেকে শিল্পের কাঁচামাল পর্যন্ত আমদানি এবং পাট, তৈরী পোশাক প্রভৃতি রপ্তানির মাধ্যমে দেশে বৈদেশিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু করা হয়। বর্তমানে তৈরী পোশাক রপ্তানি অর্থনীতিতে যে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে তারও পথিকৃৎ টিসিবি।